লিখেছেনঃ আরভান শান আরাফ
আমার জীবনটা আজ পাল্ঠে গেছে ।জীবনটা পাল্ঠে গেছে দিনের পর রাত আসার মত ।জীবনের এই ত্রিশ বছর পার করে আজ যখন এক ব্যস্ত জীবনের মুখমুখী হলাম তখন কত কথায় না মনে পড়ছে ।কত ব্যর্থতা আর ভালবাসার স্মৃতি গুলোই না মনের অন্তলোকে ভেসে ওঠছে ।সবাই বলে এইবার থাম না আবির ,কিন্তু থামা তো আর হয়ে ওঠে না ।যা হারিয়েছি তা ভুলার জন্যে অথবা যা ছেড়ে দিয়েছি তা ফিরে না পাওয়ার জন্যে এক প্রাণবদ্ধ শক্তি নিয়ে ছুটে চলছি ।
আমার জীবনটা আজ পাল্ঠে গেছে ।জীবনটা পাল্ঠে গেছে দিনের পর রাত আসার মত ।জীবনের এই ত্রিশ বছর পার করে আজ যখন এক ব্যস্ত জীবনের মুখমুখী হলাম তখন কত কথায় না মনে পড়ছে ।কত ব্যর্থতা আর ভালবাসার স্মৃতি গুলোই না মনের অন্তলোকে ভেসে ওঠছে ।সবাই বলে এইবার থাম না আবির ,কিন্তু থামা তো আর হয়ে ওঠে না ।যা হারিয়েছি তা ভুলার জন্যে অথবা যা ছেড়ে দিয়েছি তা ফিরে না পাওয়ার জন্যে এক প্রাণবদ্ধ শক্তি নিয়ে ছুটে চলছি ।
কেউ কেউ বলে ,ব্যস্তদের জীবন থেকে অনেক কিছু হারিয়ে যায় কিন্তু .হারানোর জন্যে যে কিছু থাকা চায় আর প্রকৃত অর্থে আমার জীবন এমন কিছু নেই যা হারাতে পারে ।তাই আজ আর ভয় পায় না । ওর নাম ছিল সীমান্ত ।ওকে আমি দেখেছি ছোট ছিলাম যখন তখন ।মনে নেই কখোন থেকে তার সাথে চলতে শুরু করেছিলাম ।মনে পড়ে কিছু কিছু কথা যা হৃদয়ের অন্তলোকে লিপিকারে লেখা আছে ।সে ছিল আমার সমবয়সী ।আমার খেলার অনেক সাথীর মধ্যে একজন ।
ছোট থেকেই তার মধ্যে গোছিয়ে কথা বলার একটা গুণ ছিল ।আর আমি ছিলাম তার সম্পূর্ণ বিপরীত ।গুছিয়ে কথা বলার চেয় অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগেই ছিলাম পটু ।ক্লাস ফাঁকি ,রাত বিরাতে এখানে ওখানে চলে যাওয়া আর পরিক্ষার সময় টাকার লোভ দেখিয়ে খাতা দেখে লেখা ছিলা আমার আর কী বা করার আছে ।আর সীমান্তকে দেখতাম বরাবরের মতোই পড়াশোনাতে ভাল ফলাফল নিয়ে দাঁতবের করে হেসে বাড়ি ফিরতো ।ওর তুষ্ট মন দেখে আমি রোষ্ট হয়ে যেতাম ।
তবে আমাদের মধ্যে শত অমিল থাকা সত্বে ও কোথায় যেন আমরা এক অদ্ভূত মিল খোঁজে পেতাম ।সীমান্তকে আমি তুই সম্মোধন করলে ও সে তুমি ই সম্বোদন করতো ।আমি ওকে পাঁচ বার আঘাত করলে ও ও আমাকে একবার ও আঘাত করতো ।কেঁদে বাড়ি চলে যেত ।আর যখন ওর মা জানতে চাইতো কাঁদছে কেন তখন বলতো পড়ে গেছে অথবা এমনি । জীবনের সময়গুলো কী ভাবে যেন চলে যেতে থাকলো ।স্কুল ছেড়ে হাই স্কুলে ভর্তি হলাম ।
আমাদের গ্রাম থেকে অনেকটা পথ হেঁটে যেতে হতো স্কুলে ।আমি আর সীমান্ত হেঁটে যেতাম ।যেতে যেতে কত কথা হতো আমাদের তা আজ ভুলে বসে আছি ।কিন্তু ,সেই হাত ধরে পথ চলা আর পথে পথে চলতে চলতে দোষ্টমীর দিন গুলোকে আজো ভুলতে পারেনি । হয়তো সেই দিনগুলোতেই আমার ভালবাসার বীজ বপন হয়েছিল ।তবে ভালবাসার চারা গজিয়েছিল আরো বহু পরে ।আজ সেই ভালবাসার বৃক্ষের গল্প ই লিখতে বসেছি । তখন আমরা পড়তাম দশম শ্রেণীতে ।দশম শ্রেণী মানে একটা দূরন্ত সময় ।
না কিশোর ,না যুবক ।এমনি একটা সময় যখন পৃথিবীর সবকিছু সুন্দর লাগে ।মনে হয় সব কিছু যেন সুখের ।সব কিছুর প্রতি এক অদ্ভুত আকর্ষণ ।অবৈধকে বৈধ আর অসামাজিককে সামাজিক করার এক দুর্নীবার প্রত্যয় ।আমার আমি যেন কোথায় হারিয়ে যাচ্ছিলাম দিন হতে দিন ।আমার আমি যেন মনে মনে কার ছবি একে ফিরছিলাম ।নিজের অজান্তেই এক প্রখর ভালবাসার বীজ উপ্ত হচ্ছিল আমার হৃদয়ে । একদিন ,খুব বৃষ্টি পড়ছিল ।স্কুল থেকে ফেরার পথে বৃষ্টি আরো প্রবল হচ্ছিল ।এতোটা পথ হাঁটতে হাঁটতে দুজনেই বৃষ্টি একাকার ।
আমার বুকে তখন হালকা পশম ।নব যৌবনের সুঠাম শরীর ।খেয়াল করছিলাম সীমান্ত আমার দিকে বারবার কেমন করে তাকাচ্ছে ।তার চোখে আমি যেন ভয়ংকর এক আবেদেন দেখছিলাম ।বুঝতে পারিনি ঐদিন ঐ আবেদনের কী মানে ?তবে সেই প্রথম একটা ছেলের দৃষ্টি আমার বুকে চিনচিন আগুন জ্বালাচ্ছিল । এর কয়েকদিন পর ,একদিন আমি আর সীমান্ত নদীর পাড়ে বসে কথা বলছিলাম ।কথা যে বিষয়েই হোক না কেন ,তার কথা গুলো ঐ দিন কেন যেন খুব ভাল লাগছিল ।হঠাৎ ,করেই চিরচেনা সেই মুখ খুব অচেনা হয়ে গেল ।
আমি সেই চোখ মুখে প্রেম খোঁজে মরছিলাম ।তাকিয়ে ছিলাম বোকার মতো তার দিকে ।খেয়াল ফিরল ,সীমান্তের সজোরে থাক্কা মারাতে । সীমান্ত ,তুমি আমার দিকে তাকিয়ে কী ভাবছিলে ? আমি হাত লাগা মাটি মুছতে মুছতে বলেছিলাম ,না কিছু দেখছিলাম না ।ভাবছিলাম তুই বড় হয়ে গেছিস । সীমান্ত হাসলো । হা হা হা হা আমি বড় হয়ে গেছি আর তুই বুঝি ছোট ই আছিস ?হা হা হা হা দশম শ্রেণী ভুলার মতো না ।দশম শ্রেণী আমাকে ভালবাসা দিয়েছিল । ভাল ফলাফলের জন্যে আমি সীমান্তদের বাসায় গিয়ে পড়তাম ।
কারন আমার চেয়ে সীমান্ত ব্যাপক ভাল ছাত্র ছিল ।একদিন ম্যাথ পরিক্ষার প্রস্তুতি নিতে নিতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল ।তাই আর বাড়ি ফিরলাম না ।সীমান্ত আর তার বাবা মার অনুরোধে থেকেই গেলাম । । রাতে সীমান্ত বিছানায় শুয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল ।তার তাকানোর মধ্যে অদ্ভূত এক নেশা ।আমি লজ্জা পাচ্ছিলাম ।আমার একটা দিক হচ্ছে গায়ে জামা রেখে শুতে পারি না ।তাই টি শার্ট টা খুলে সীমান্তের পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লাম ।সীমান্ত আমার দিকে কাত হয়ে আর আমি সীমান্তের দিকে কাত হয়ে শুয়ে ছিলাম ।
আমার চোখ তার চোখে আটকা পড়েছিল ।এক অদ্ভুত দিশেহারা প্রেমের আগুন দাও দাও করে জ্বলছিল তার চোখে ।আমার নিশ্বাস ঘন থেকে ঘনতর হয়ে যাচ্ছিল ।আমি আমার মেরুদন্ডে এক চিনচিন ব্যথা ফির করছিলাম ।দুজনে দুজনের দিকে তাকিয়ে ।কারো মুখে টু শব্দটুকু ও নেই আছে শুধু ঘন শ্বাস ।ধীরে ধীরে উভয় ঘনিষ্ট হতে থাকি ।খুব কাছে এগোতে থাকি ।খুব সাহসে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরি ।আমি ই প্রথমে সীমান্তের কপালে কিস করি ।তারপর সীমান্ত আমার ঠোটে কিস করে ।আমি ও আবার তার ঠোটে কিস করি ।
তারপর একে অন্যের ঠোটে কিস করতে থাকি ।প্রেমের এক অবৈধ টানে আমরা আপন বস্ত্র খুলতে থাকি । দুজনেই যৌবনের অবৈধ মিলতে উৎসাহী ।আমি চিৎ হয়ে শুয়ে ।সীমান্ত আমার কামদন্ডটাকে মুঠ করে ধরে তার মুখে নিয়ে খাদ্য বস্তুর মতো এক পাতাল যৌনটাতে চুষতে লাগলো ।সেই প্রথম উষ্ণতা আজো ভুলার মতো না ।আমি সীমান্তের উপর শান্তিল কবুতরের মতো উপচে পড়ে আমার অঙ্গতার ভেতর প্রবেশ করিয়ে এক অদ্ভুত সুখ লাভ করেছিলাম ।তার প্রতিটি যৌন শব্দ আমাকে পুরুষ হওয়ার বিশ্বাস জাগিয়েছিল ।
ঐদিন মনে পড়েছিল মনের অজান্তে যে মানব দেহ অন্তপুরে মাথা ঘোজে ছিল সেটা সীমান্ত ।ঐদিন আমার ভালবাসার বৃক্ষের চারাগাছ গজিয়েছিল । ঐদিন ই আমি সীমান্তের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সুখ লাভ করেছিলাম । ঐদিনের পর থেকে আমি সীমান্তকে আর কোন দিন তুই সম্বোদধ করতে পারেনি ।পারিনি তাকে একদিনের জন্যে ও না দেখে থাকতে ।সীমান্ত ও আমায় ভালবাসতো পাগলের মতো ।সেই পাগলের মতো ভালবাসার সীমান্ত আর আমাকে নিয়ে কত জনে কত কথাই না বলতো ।কে শুনে কার কথা !পাগলের মতো ভালবেসেছি অনেকটা সময় ।
মাধ্যমিক শেষ করে উচ্চ মাধ্যমিকের জন্যে কলেজে ভর্তি হলাম ।দুজনেই এক সাথে থাকতে লাগলাম ।কলেজে পড়ার সময় ম্যাসটাকে আমরা করে রেখেছিলাম আমাদের ছোট একটা সংসারের মতো ।আড্ডা ,দুষ্টমী ,প্রেম আর ভালবাসা ঘিরে রেখেছিল আমাদের জীবন । ইন্টার পাশের পর ,আমরা গ্রামে গেলাম ।সেখানে গিয়ে শুনি সীমান্তের দুলাভাই তাকে কানাডা নিয়ে যাবে । সীমান্তকে দেখলাম তাতে সে খুশি । সে কানাডা যাবে ।ভাবতে পারেনি যার সাথে এতোটা বছর এক সাথে চলেছি ।
যে আমার বুকে মাথা না রাখলে আমার ঘুম হয়না ।যার হাতের ঠোটের চুম্মুন ব্যতিত আমার সকাল হয় না সে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে । হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হতে লাগলো । সীমান্ত দেশ ছাড়ার আগের দিন রাত্রে আমার কাছে আসলো ।এসে আমাকে বুঝাতে চাইলো ।সে কানাডা যাওয়ার বছর খানেকের মধ্যে আমাকে নিয়ে যাবে ।তারপর দুজনে এক সাথে ঐখানে থাকব ।ইত্যাদি ইত্যাদি ।কিন্তু ,ঐদিন আমি খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম ।সীমান্তকে খুব কঠিন কঠিন কথা বলি ।
সীমান্ত ও কাঁদে আর আমি ও । তারপর সে দেশ ত্যাগ করলো আমার ভালবাসাকে উপেক্ষা করে ।কষ্ট পেয়েছিলাম ,রাগ করেছিলাম ।তাই আমিও তার স্মৃথিচিহ্নত জায়গা গুলো ত্যাগ করে দুরে কোথাও চলে আসি ।আজ এতোটা বছর হয়ে গেল ,সে একটিবার খবর নিল না আমি কেমন আছি ।সে ভুলে গেল আমায় ।তাই আমিও ভুলে গেছি তাকে ।সে আমার জীবনে আসুক আমি তা আর চাই না ।।
বিঃ দ্রঃ গল্পটি আবির ভাই এর জীবন কাহানী থেকে নেয়া। আবির ভাই আমাদের সাথে আপানার জীবন কাহানী শেয়ার করার জন্য।
No comments:
Post a Comment