লিখেছেনঃ আরভান শান আরাফ
বেকারত্ব খুব বড় একটা অভিশাপ ।সেই অভিশাপের আগুনে গ্রামের পর গ্রাম পুড়েনি পুড়েছে শত তরুণের স্বপ্নের পর স্বপ্ন ।আমি স্বপ্ন দেখতে অভ্যস্ত কোন কালেই ছিলাম না আজো নয় কারন আমি জানি স্বপ্ন ভাঙার কষ্ট গভীর রাত্রের দুঃস্বপ্নের চেয়ে ও বিবর্ণ ।জীবনে এমনিতেই আমাকে মহাক্লান্তময় অভিশপ্ত সমকামী করেছে ।সেই কষ্টে বুকের তীর ভেঙেছে শতবার ।গভীর রাত্রে বুকের চিনচিন ব্যথা আমাকে জাগিয়ে রাখে ।হায়রে জীবন ,তাকে আমি না পাড়ছি অর্জন করতে না পারছি ছাড়তে ।মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে দূরে কোথাও চলে যায় যেখানে মানবদেহ কুড়ে কুড়ে খাওয়া জন্তুগুলো নেই ।
বেকারত্ব খুব বড় একটা অভিশাপ ।সেই অভিশাপের আগুনে গ্রামের পর গ্রাম পুড়েনি পুড়েছে শত তরুণের স্বপ্নের পর স্বপ্ন ।আমি স্বপ্ন দেখতে অভ্যস্ত কোন কালেই ছিলাম না আজো নয় কারন আমি জানি স্বপ্ন ভাঙার কষ্ট গভীর রাত্রের দুঃস্বপ্নের চেয়ে ও বিবর্ণ ।জীবনে এমনিতেই আমাকে মহাক্লান্তময় অভিশপ্ত সমকামী করেছে ।সেই কষ্টে বুকের তীর ভেঙেছে শতবার ।গভীর রাত্রে বুকের চিনচিন ব্যথা আমাকে জাগিয়ে রাখে ।হায়রে জীবন ,তাকে আমি না পাড়ছি অর্জন করতে না পারছি ছাড়তে ।মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে দূরে কোথাও চলে যায় যেখানে মানবদেহ কুড়ে কুড়ে খাওয়া জন্তুগুলো নেই ।
কিন্তু ,আমি এতোই হতাশ যে তা থেকে মুক্তি লাভের উপায় অজ্ঞাত ।আজ আমি লিখব আমার জীবনের অর্জন ,গ্রহণ আর বর্জন ।আমার প্রেম ,ভালবাসা ,বিশ্বাস আর বিশ্বাস ভঙের গল্প । আমি আতিক ।গ্রামের ছেলে বলে বোকা সোকা ছিলাম না ।গ্রাম বলতে শহরের মতোই ।আমার ছিল একটা পরিবার ।পরিবারে ছিল না সুখের ঘাটতি ।তখন আমি স্কুলের ছাত্র ।স্কুলে তখন সিক্স সেভেনে পড়তাম ।দাপিয়ে বেড়াতাম সারাবেলা ।
পচন্ডরকম ডানপিঠে স্বভাবের ছিলাম বলে এমন দিন ছিল না ,যেদিন মার খেতে হয়নি ।মার খেয়ে চলে যেতাম নদীর পাড় আর সেখানে গিয়ে আনমনে বসে বসে নদী দেখতাম ।মাঝে মাঝে সারাবেলা পড়ে রইতাম নদীর জলে । আমার সমকামী হওয়ার শুরু সেখান থেকেই ।আমার একাকিত্বের মধ্য থেকেই তার উৎপত্তি ।আমার চাচাতো ভাই রিপন ,সে তখন কলেজে পড়তো ।একদিন আমি তার দ্বারা কলঙ্কিত হলাম ।বৃষ্টিভেজা এক সকালে সে আমাকে রান্না ঘরে তার যৌন চাহীদা পূরণ করতে ব্যবহার করে ।তার সুঠাম শরীর আর পুরষালীকাম আমাকে চিরদিনের সমকামী করে দিল ।
এরপর থেকে প্রতিনিয়ত আমি তার দ্বার যৌনকামে ব্যবহৃত হয়েছে ।আমি তার কাছে ছুটে যেতাম এক অদ্ভুত আকর্ষনে । অনেক আটকাতে চেয়েছি কিন্তু পারেনি । বাবা মা দুজনকেই হারালাম ।তাদের মৃত্যুরপর আমাকে দেখার মতো কেউই রইলো না ।একা হয়ে গেলাম পনের ষোল বছরের কিশোর বয়সে । বড় আপার সাথে শহরে চলে আসলাম তাদের ফ্ল্যাটে ওঠলাম আর কলেজে ভর্তি হলাম ।যে ব্যক্তি আমার হৃদয়ে সমকামের বীজ পুতে দিল সে বিয়ে করলো ।আমি অনেক কেঁদেছিলাম কিন্তু তার মূল্যটুকু ও ছিল না ।সেদিন থেকেই বুঝতে পেরেগিয়েছিলাম সমকামীতার জ্বালা ।
তারপর যাকে দেখেছি তাকেই ভাললেগেছে ।একরাত বিছানায় পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছি কাউকে ভালবেসেছি ।যার ফলশ্রুতিতে কষ্টই পেয়েছি বারবার । রিপন ভায়ের পর পরবর্তী জীবনে আসে অহিন ।অহিন ই ছিল আমার প্রথম প্রেম ।যাকে আমি মন থেকে ভালবেসেছিলাম ।ইন্টার ফাইনাল ইয়ারে যখন ছিলাম তখন তুহিন তার দোকান খোলে বসেছিল ।তাকে যত দেখতাম ততোই ভাল লাগতো ।বাসার ঠিক পাশেই ছিল তার কনফেকশনারির দোকান ।আমি ছাদ থেকে ,বারান্দা থেকে অথবা পড়ার টেবিল থেকে তাকে দেখতাম ।সে ও দেখতো ।
চার চোখের মিলনে কবে যেন প্রেম হয়ে গেল ।একদিন ,সে আমায় ডাকলো আর তার পাশে বসিয়ে গল্প করলো ।তার কথা বলার ধরন ,তার অট্রহাসি ,তার পেশিবহুল বাহু ,লোমশবুক ,এলোমেলো চুল আর চোখের মায়া আমাকে এতোই টানছিলো যে ,একদিন বলেই দিলাম তাকে মনের কথা ।সেই প্রথম আমার ঠোটে চুম্মন করেছিল ।আমাকে পরিপূর্ণরুপে ভালবেসেছিল । টানা দু বছর আমি তার পাশে ছিলাম । কিন্তু ,ভাগ্য বড় ধোকা দিল আমায় ।ভর্তি হলাম ভার্সিটিতে ।ওঠলাম হলে আর সে ও পাল্ঠাতে লাগলো ।আমাকে একা করে সমাজ আর ধর্মের দোহায় দিয়ে সে বিয়ে করলো ।
আমার প্রথম ভালবাসা সেই তুহিন আজ অন্যের ভাবতেই বুকে কষ্টের তীর এসে বিধে ।সেই তীর বুকে রক্ত ঝড়াই আর সেই রক্ত চোখে জল হয়ে ঝড়ে ।। থাক এসব ।বেকার মানুষের তো কষ্ট থাকবেই ।পড়াশোনা শেষ করতে অনেক কষ্ট করেছি ।আজ যখন শেষ হলো তখন পাচ্ছি না চাকরি । যদি একটা চাকরি পেয়ে যায় তবে হয়তো পিছনে ফেলে আসা কষ্ট গুলোর কবর রচনা করতে পারবো ব্যস্ততার মধ্যে । এই চিন্তায় আমার হৃদয়টাকে গ্রাস করে রেখেছিল । ভাগ্য আমাকে সাহায্য করলো এইবার ।একটা চাকরি হল ।বেসরকারি কম্পানিতে ।
২৮ বছর আগের কষ্টগুলো ভুলে কাজে মন দিলাম ।রিপন ,তুহিন ,অমিত আরো কিছু মানুষের লালাগ্রন্তির শিকারে আমি যখন ক্লান্ত ,মুর্ছিত আর হতাশা গ্রস্ত তখনি চাকরিটা আমাকে নতুন করে বাঁচার সাহস যোগাল ।আমি সমকামী তা ভুলে একজন দায়িত্ববান মানুষ হতে চেষ্টা করতে লাগলাম । দিনগুলো খুব ব্যস্ত কাটছিল ।সকাল ভোরে ওঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা তৈরী আর রাত্রে ফিরে আবার রান্না করে খাওয়া ।এইরুপ ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটছিল যার ফলে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম । জীবনে আবার নতুন করে কেউ আসবে না নিশ্চিত ছিলাম ।তারপরে ও যে কী হয়েছিল ।
আমার অফিসের ম্যানেজার ,নাম রূদ্র ।ওনি রুদ্রের মতোই রাগি ।আমার বয়স থেকে এক দু বছরের বড় ই হবে ।দেখতে এতো স্মার্ট যে একবার দেখলে আরেকবার গাঢ় ফিরিয়ে দেখতে হবে আর রাত্রে শুয়ে ভাবতে হবে ।আমি এটাই ভাবতাম যে ,যে এত স্মার্ট যে কেন এতো রাগি । তবে আমার সাথে ততোটা রাগ না দেখালো ও কম কথা বলে ।মাঝে মাঝে খেয়াল করতাম তাকিয়ে দেখছে ।আমি তো ভাবনায় পড়ে যেতাম যখন রূদ্র স্যারের প্রেমপূর্ণ দৃষ্টি আমার চোখে আটকা পড়ে যেতো ।সত্যি বলতে ধীরে ধীরে আমি তাকে ভালবেসে ফেলছিলাম ।
তার ভালবাসা আমাকে রাত জাগাতে শুরু করল ।মাথার তার গুলো ছিঁড়তে শুরু করলো বেখেয়ালি চিন্তায় ।রাতে রান্না করে খাওয়ার চেয়ে তার কথা ভেবে ডায়রি লিখতেই পছন্দ করতাম । কিন্তু ,ভয় প্রাণগ্রাসী ছিল ।কারন ,ওনি এমন কেউ যাকে পাওয়ার ইচ্ছে বৃথা ।ওনাকে ছোঁয়ে দেখার স্বপ্ন মরিচিকা ।তার পরে ও কি পাওয়ার আষা যেন হৃদয় বাগিচায় উপ্ত হতে লাগলো । জানি না ,ওনার মনে কি আছে তবো কেন যে মনে হয় সে ও চায় আমাকে ।সে ও ভালবাসে আমাকে ।আমাকে চায় সে ও ।
কিন্তু ,বলে না কেন ? আমি কি করে তাকে চাইবো ? যেখানে সে আমার শাসক । তারপরে ও মন মানেনি ।ভালবাসার জালে আবদ্ধ হতেই হল আমাদের । সেদিন অফিসের মিটিং সেরে আমি রূদ্র আর অন্যরা বের হচ্ছিলাম ,এমন সময় রুদ্র আমার হাত টেনে ধরে বললে তার সাথে চলতে ।আমার বস মানুষ তাই বিনাদ্বিধায় চললাম তার সাথে ।গাড়িতে চড়ে বসতেই সে গাড়ি চালিয়ে ছুটল ।আমার বুক কোন আতঙ্কে যেন ধুক ধুক করে কাঁপছিল । গাড়ি এসে থামল তার বাড়ির সামনে ।আমি তাকে অনুসরন করে হেঁটে চললাম ।সে তার রুমে আমাকে বসিয়ে নিজেই কফি করে আনলো ।আমি চুপ করে ছিলাম ।
কিছু বলার ছিল না ,ভয়ে হৃদপিন্ড গলা বেয়ে বের হয়ে আসতে চাইছিল ।রূদ্র এসে আমার পাশে বসলো ,কয়েকবার গলা ঝেড়ে বললো ,আতিক তুমি আমার হবে ?আমি বোবা হয়ে তাকিয়ে ছিলাম তার দিকে ।সে আমাকে জড়িয়ে ধরে কপালে কিস করে বললু ,আতিক আমি তোমাকে ভালবাসি ।তার এই কথায় আমি আটকে গেলাম ।বললাম আমিও ভালবাসি ।তার ঠোটে ঠোট ডোবালাম ।তার চোখে চোখ রেখে এক অজানা ভালবাসার জগতে পা দিলাম ।সেখানে শুধু সুখ আর সুখ । এই আমার সমকামী জীবন ।যা আজ বললাম ।হ্যা আমি আর রূদ্র আজো এক সাথেই আছি ।কিন্তু ,কোথাও যেন ভাঙনের সুর ।আশা করি আমার ভালবাসা পারবে সেই ভাঙন ঠেকাত কারন আমি পুনরায় আবার কষ্ট পেতে চায়না ।
বিঃদ্রঃ ঘটনাটি আতিক ভাইয়ের জীবন থেকে নেয়া।
No comments:
Post a Comment